প্রথমবার প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দিচ্ছে তাদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা

প্রথমবার প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দিচ্ছে তাদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা 





যেকোনো পরীক্ষা দেয়ার আগে নিজেকে মনস্থির করতে হবে ভালো কিছু করার । যেকোনো পরীক্ষা দেয়ার শুরুতেই একটা বিষয় মাথায় রাখা উচিত, হুজুগে অন্যের দেখাদেখি পরীক্ষা দিচ্ছি এমন যেন না হয় । নিজের মধ্যে সিরিয়াস ভাব থাকতে হবে, নিজেকে খুব ভালমতো প্রস্তুত করার চেষ্টা করতে হবে, অন্যের দিকে খুব একটা নজর দেয়ার দরকার নেই, কোন গুঁজবে কান দেয়ার দরকার নেই, যে এগিয়ে যায় সে সব বাঁধা অতিক্রম করেই এগিয়ে যায় ।

প্রথমবার প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দিচ্ছে তাদের উদ্দেশ্যে কিছু কথাঃ

যেকোনো পরীক্ষার প্রস্তুতি নিলে ভালমতো প্রস্তুতি নেয়া উচিত, আধো আধো প্রস্তুতি নেয়ার চেয়ে না নেয়া ভালো । কেউ বিসিএস পরীক্ষা দিচ্ছে শুনে অনেকেই শুরুতে জিজ্ঞেস করে বসে এটা কত তম বিসিএস ? একটা কথা বলে নেয়া দরকার , যারা জীবনে খুব ভালো করে তারা কখনোই অন্যের দিকে তাকায়না, অন্যের পরামর্শ নিতে পারে কিন্তু ১০০% অন্যকে অনুকরণ করেনা , অন্যের সিদ্ধান্তে চলে না , তারা পারিপার্শ্বিকতা ও নিজস্ব বিচার বিশ্লেষণ দ্বারা নিজের সবকিছুই নিজের মত করে গুছিয়ে নেয় ।
সবাইতো আর একই রাস্তায় হেঁটে জীবনে বড় পজিশনে পৌঁছায়নি তাইনা ? আমি অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক পরীক্ষার বিষয়ে যেটা দেখেছি – অনেকেই গুঁজবে কান দেয়, নানান জনের সাথে পরামর্শ করে, এটা হলে কি হবে সেটা হলে কি হবে এসব ভাবে , কত বুদ্ধি পরামর্শ করে ইত্যাদি । যেকোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক পরীক্ষার জন্য বেস্ট গাইডলাইন হচ্ছে তার বিগত বছরের প্রশ্নগুলো,যেটা নিয়ে খুব কম লোকই ঘাঁটাঘাঁটি করে ।
বেশির ভাগের মাথায় খালি এক চিন্তা ঘুরপাক খায়, কে কি পড়ছে, কোনটা কোন বই থেকে পড়তে হবে, কয়টা প্রশ্ন কমন পড়বে, কমন না পড়লে কি হবে, কয় ঘণ্টা করে স্টাডি করা উচিত ইত্যাদি ।যেকোনো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এক বিষয় আর সেখানে সফলতার সাথে উতরে যাওয়া হচ্ছে আরেক বিষয় ।
English Spoken এ যেভাবে ভাল করবেন

বাস্তবতা হল যারা শুধুমাত্র পরীক্ষায়

টেকার চিন্তা করে তাদের জন্য পরবর্তীতে ভালো করাটা একটু কঠিনই । প্রস্তুতি এবং কনফিডেন্স এমন থাকতে হবে যে প্রিলিমিনারি পরীক্ষাতে এমনিই হবে , এটা নিয়ে কোন দুশ্চিন্তা থাকা যাবেনা ।
অনেকেই আছে পরীক্ষার মাত্র কয়দিন আগে থেকে স্টাডি শুরু করে এখন বলছেন যে আপনার পড়া ভালো হয়নি, আপনার হবেনা, কেন ?
আপনি যদি এটাই জানতেন যে এত অল্প সময়ে আপনি ভালমতো প্রস্তুতি নিতে পারবেন না তাহলে আগে থেকে কেন স্টাডি শুরু করেননি ? সে যাই হয়ে থাকুক না কেন এই কয়টি দিন মোটামুটি সারাদিনই স্টাডি চালিয়ে যান ।
সহজভাবে প্রস্তুতি নিন যেন পরীক্ষাতে শুধু সহজ প্রশ্নগুলো পারেন । ধরে নিন পরীক্ষাতে আপনার খুব কঠিন একটি প্রশ্নও পারতে হবেনা ।
যারা প্রথমবার পরীক্ষা দিচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে প্রথম কথাই হল কারো কথা না শুনে জাস্ট নিজের মত করে স্টাডি করে নিজের মত পরীক্ষা দিয়ে আসবেন ।
কে কি করেছে , কে কিভাবে ব্যর্থ হয়েছে , কিভাবে সফল হওয়া যাবে এতকিছু ভাবার কোন দরকার নাই । straight কথা – পরীক্ষাতে জাস্ট যেগুলো পারবেন একটানা শুধু সেগুলো ঠাণ্ডা মাথায় উত্তর করে আসবেন ।
যারা ৩-৪ বার ধরে পরীক্ষা দিচ্ছে তারা খুব অভিজ্ঞ, তাদের জ্ঞানের পরিধি বেশি এমনটি ভাবার কোন কারণ নেই , সবসময় মনে রাখতে হবে first time is the best time.

প্রথমবার যে জোশের সাথে পরীক্ষা দেয়া হয়

সেভাবে পরেরবার পরীক্ষা দেয়াটা নানান কারনে কঠিন হয়ে যায়, কারণ দিন যত যায়, সাথে সাথে আমাদের অনেকেরই পারিপার্শ্বিকতা ও রুঢ় বাস্তবতার সম্মুখীন হবার সম্ভাবনা তত বেড়ে যায় ।
আর পরীক্ষাতে অভিজ্ঞতার চেয়ে চতুরতা ও বিচক্ষণতা বেশি জরুরী । পরীক্ষা বিশেষজ্ঞ হওয়ার চেয়ে পরীক্ষায় সফল হতে পারাটা কি আবশ্যক নয় ? নিজের passion থাকলে আর নিজের স্টাডিটাকে ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারলে একবারই যথেষ্ট ।
আরেকটি কথা আগেও বলেছি , প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য ভালমতো স্টাডি করলে অন্যান্য অনেক পরীক্ষারই প্রস্তুতি হয়ে যায় । এটা মনে করার কোন কারণ নেই যে বিসিএস ই আমাদের দেশের একমাত্র চাকুরী আর কোন চাকুরী নাই ।
নিজের মত করে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে , যার যথাসময়ে নিজের যেকোনো কাজের প্রতি একাগ্রতা থাকবে সে কোন না কোনোভাবে জীবনে বড় পজিশনে পৌঁছাবেই ।
তবে বিসিএস এর জন্য ভালো প্রস্তুতি নিলে অন্যান্য অনেক পরীক্ষার প্রস্তুতি হয়ে যায় ।সবাই তো আর একইভাবে জীবনে বড় পজিশনে যায়না তাইনা ? আমাদের অনেকেই পরিশ্রম করতে আগ্রহী নয়, কিন্তু অতিরিক্ত স্বপ্নবিলাসী । বসে থেকে আর শুধু অন্যের সমালোচনা করে জীবনে ভালো কিছু করা একটু কঠিনই ।
যারা প্রথমবার পরীক্ষা দিচ্ছেন তারা পরীক্ষার পরীক্ষার আগের রাতে খুব বেশি স্টাডি না করার চেষ্টা করবেন , ভালো ঘুম দরকার মাথা ঠাণ্ডা রাখার জন্য , আর ওই একরাতের পড়া দিয়ে আপনি সবকিছু উদ্ধার করে ফেলবেন না , আর পরীক্ষার দিন সকালে নো স্টাডি ।

আপনি ভালো করলে এর মধ্যেই ভালো করবেন

আর নাহলে আরও ১০ দিন পড়লেও বাজে পরীক্ষাই দিতেন বিষয়টা অনেকটা এমন । পরীক্ষার হলে আপনার প্রশ্ন selection যেন খুব ভালো হয়, মানে বুঝতে হবে কোন প্রশ্নগুলো আগে উত্তর করতে হয়, এটা যারা না বোঝে তাদের ভালো প্রস্তুতি থাকার পরও খারাপ পরীক্ষা দেয়ার সম্ভাবনা বাড়ে ।
প্রথমেই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধু এক চান্সে পারার মত প্রশ্নগুলো উত্তর করতে হবে , বাকি সবগুলো বাদ । পরে সময় থাকলে সেগুলো উত্তর করার চেষ্টা করতে হবে । আর ভয় পাওয়ার কিছু নেই, যে যত ঘাবড়াবে তার পরীক্ষা তত খারাপ হবে ।
জীবনে অনেক স্টুডেন্ট পড়িয়েছি , বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে আমার যেটা মনে হয়েছে অনেক ভালো পরামর্শ আর গাইডলাইন দেয়ার পরও কিছু স্টুডেন্ট তারপরও পরীক্ষার হলে সেই typical traditional way তেই খারাপ করবে, মানে ডুবাবেই ।
এরা নিজের সাথে এবং নিজের প্রস্তুতির সাথেই প্রতারণা করে । পরীক্ষার প্রেসার নেয়ার capacity আর পরীক্ষার হলে মাথা ঠাণ্ডা না রাখতে পারলে ১০ বার পরীক্ষা দিলেও ১০ বারই খারাপ হবে ।
যেভাবে পড়লে এক মাসেই ৪০ তম বিসিএসে চান্স সম্ভবঃ সুশান্ত পাল

কিছু স্টুডেন্ট আছে যাদের পরীক্ষার হলে দেখলে মনে হয়

তারা পরীক্ষার ঘণ্টা পড়ার পর আর প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর আর পরীক্ষার হলে নাই, আছে সরিষাক্ষেতে, কারণ তাদের চোখে সবকিছুই সর্ষেফুল । অথবা বিষয়টা যেমন আমার এক আঙ্কেলের মত যেন না হয় ,
যিনি তার এইচ এস সি পরীক্ষার সময় কোন এক পরীক্ষায় সকল প্রশ্ন কমন পরে যাওয়ায় খুশিতে পরীক্ষার হলে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন , পরে পরীক্ষার হলে তার জ্ঞান ফিরতে একটু সময় লেগেছিল আর তার সেই পরীক্ষাই সবচেয়ে খারাপ হয়েছিল ।
খেয়াল রাখবেন এটি কিন্তু পরীক্ষাকেন্দ্র , কান্না-কেন্দ্র নয়, প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর আবার যেন হাউমাউ করে কান্না না করেন । পরীক্ষার কেন্দ্রে যাওয়ার পর পারতপক্ষে কারো সাথেই কথা বলার কোন দরকার নেই, নিজের মত চুপচাপ পরীক্ষার হলে যাবেন , পরীক্ষা দিয়ে সোজা চলে আসবেন ।
পরীক্ষার কেন্দ্রের বাইরে এবং আশেপাশে অনেক গবেষক, বিশ্লেষক, ঋষি, মনিষী, বিজ্ঞানী, দার্শনিক আর মনোবিজ্ঞানীরা আছেন যাদের কিছু মতবাদ আপনার মাথার চাঁদি গরম করে দিতে পারে বা আপনাকে আতংকের অতল গহ্বরে পাঠিয়ে দিতে পারে । বিগত বিসিএস পরীক্ষার প্রিলির প্রশ্নগুলো দেখবেন, প্রশ্ন রিপিট হয় । পরীক্ষাতে যতগুলো প্রশ্ন সহজ আসে শুধু সেগুলোতে হিট করতে পারলেই আপনার মিশন সাকসেসফুল ।
Think positive, try your best, keep confidence, keep patience, you will definitely rock. All the best. Good luck guys.
By
Aryan Ahmed
assistant commissioner of taxes

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post