চাকরির প্রবেশের বয়স ৩৫ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান

 চাকরির প্রবেশের বয়স ৩৫ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান

৪২ ও ৪৩তম বিসিএসের নতুন সার্কুলারসহ সকল চাকরতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধিসহ চার দফা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেছে ‘৩৫ চাই’ আন্দোলনের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সংগঠন ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ’। আজ (মঙ্গলবার) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন

পরিষদের নেতাকর্মীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক মুজাম্মেল মিয়াজী।তাদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৩৫ বছরে উন্নীত করা; অমানবিক আবেদন ফি কমিয়ে তা (৫০-১০০) টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা; নিয়োগ পরীক্ষাগুলো জেলা কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ে নেয়া; ৩ থেকে ৬মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন সহ সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। লিখিত বক্তব্যে পাঠকালে মুজাম্মেল মিয়াজী বলেন, কর্মসংস্থান এবং চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ সহ ৪ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ অহিংস আন্দোলন করে আসছি। এবং এখনও আমরা অহিংস পথেই আছি। এখন মুজিববর্ষ চলছে। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন

দেখেছিলেন এদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবেন এবং এটাও বলেছিলেন দাবি যদি ন্যায্য হয় এবং সংখ্যা যদি একজনও হয় তাহলে সে দাবিও মেনে নেওয়া হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে হলে দেশের সকল নাগরিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা একান্তই প্রয়োজন। একই সাথে সেশনজট সহ আমাদের শিক্ষা-ব্যবস্থার কারণে যারা

উচ্চশিক্ষা গ্রহণে করতে প্রায় ৩০ বছর বয়স পার করে ফেলেন সেই সকল মেধাবী শিক্ষার্থীকে রাষ্ট্রের উন্নতির প্রয়োজনে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করা একটি যৌক্তিক দাবি। তিনি আরো বলেন, যে সার্টিফিকেট অর্জন করতে ২৫-৩০ বছর সময় লেগে যায় সেই সার্টিফিকেটকে কিভাবে ৩০ এর শিকলে আটকে দিয়ে লক্ষ লক্ষ মেধাবী শিক্ষার্থীকে রাষ্ট্র মেয়াদহীন

ঘোষণা করে। এটা বড় ধরনের মানবতা বিধ্বংসী কাজ। আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে দীর্ঘদিন যাবত অহিংস আন্দোলন করে আসছেন উল্লেখ করে সংগঠনের আরেক সমন্বয়ক সুরাইয়া ইয়াসমিন বলেন, এটি যৌক্তিব দাবি বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বার বার আদায় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে যে এতো যৌক্তিক দাবি, যেটি

মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ পায়, অধিকাংশ লোক এটি সর্মথন করেন। তারপরেও এটি আদায় হচ্ছে না, তার মানে কি সহিংস আন্দোলন জরুরী? যতক্ষণ না পর্যন্ত সহিংসতার রূপ ধারণ না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কি এটা আদায় হবে না? সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক এস এ সজীব আহমেদ, নাজিম উদ্দিন, রেশমা আক্তার, মাসুম বিল্লাহ্, দেলোয়ার হোসেন এবং ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সদস্য সচিব ইসমাইল সম্রাট প্রমুখ।


إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم