#earn money daily paid without investment # https://spinformoney.com/6270406737560684
করোনাভাইরাসের ডেলটা ধরনের সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় ৪৭ জন কর্মকর্তাকে শাস্তির আওতায় এনেছে চীন। দেড় বছর আগে চীনেই প্রথম করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটে।
কয়েক মাসের মধ্যে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে তা মহামারির আকার নিলেও চীন এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়। তবে সম্প্রতি দেশটিতে আবার করোর ডেলটা ধরনের সংক্রমণ বাড়ছে।
সম্প্রতি সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দ্রুত বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় চীন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—কঠোর লকডাউন, গণহারে করোনা পরীক্ষা, কোয়ারেন্টিন ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নে যেসব কর্মকর্তা ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁরা শাস্তির মুখে পড়েছেন।
শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে স্থানীয় সরকারের প্রধান, স্বাস্থ্য কমিশনার, হাসপাতাল ও বিমানবন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তাঁদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সেন্ট্রাল কমিশন ফর ডিসিপ্লিন ইন্সপেকশনের (সিসিডিআই) বিবৃতি অনুযায়ী, জিয়াংসু প্রদেশের রাজধানী নানজিংয়ের ১৫ কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। নানজিং লুকো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ওই বিমানবন্দর থেকেই পুনরায় চীনে ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের রুটিন পরীক্ষা করার সময় গত ২০ জুলাই বিমানবন্দরের ৯ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর আগে ১০ জুলাই রাশিয়া থেকে আসা একটি বিমানের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়াতে পারে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বিমানবন্দরের তিনজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে। এদের মধ্যে দুজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া নানজিংয়ের ভাইস মেয়রকে কঠোরভাবে সতর্ক করে দিয়েছে ডিসিপ্লিনারি কমিটি, প্রয়োজনে তাঁকে বহিষ্কার করা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নানজিংয়ের পার্শ্ববর্তী ইয়াংজু শহরটি করোনাভাইরাসের নতুন হটস্পটে পরিণত হয়েছে। মঙ্গলবার সেখানে ৩৯৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২৬ জনের শারীরিক অবস্থা খারাপ এবং ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় গত রোববার ইয়াংজুর ডিসিপ্লিনারি কমিশন ছয়জন কর্মকর্তাকে সতর্ক করে এবং আরও দুজনের সমালোচনা করে। গণহারে পরীক্ষাকেন্দ্রে অব্যবস্থাপনার কারণে অনেকের শরীরের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।